হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন মোহাম্মদী লাইয়েনি বুধবার “বসিরাতে আশুরা” শীর্ষক ধর্মপ্রচারণা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আলেমদের এক সমাবেশে বলেন, “সম্প্রতি দেশ এক বহুস্তরীয় জটিল নিরাপত্তা সংকট অতিক্রম করেছে। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ, ইমাম মাহদির (আ.ফা.) দৃষ্টি এবং সর্বোচ্চ নেতার দূরদর্শী নেতৃত্ব ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি জানান, গত ১২ দিনে যে ষড়যন্ত্র গড়ে উঠেছিল, তা ছিল অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক শত্রুপক্ষের সম্মিলিত পরিকল্পনার ফল—বিশেষ করে আমেরিকা ও ইসরায়েলের। এ ষড়যন্ত্রে জনগণের ঐক্য, সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি এবং সর্বোচ্চ নেতার প্রজ্ঞাপূর্ণ দিকনির্দেশনা বড় ভূমিকা রেখেছে।
মোহাম্মদী লাইয়েনি বলেন, “এবারের মহররমে আলেমদের দায়িত্ব আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা সদ্য এক আরোপিত সংকট পার করেছি, এবং এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নই। তাই সত্য ও বিজয়ের বর্ণনা জনগণের সামনে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা জরুরি।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “শান্তি চুক্তির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিকে ‘শান্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করা ভুল, কারণ সর্বোচ্চ নেতা কখনোই চাপিয়ে দেওয়া শান্তি গ্রহণ করবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “এই সঙ্কটে দেশের প্রতিরক্ষা শক্তির মাত্র সামান্য অংশ ব্যবহৃত হয়েছে। আমাদের লজিস্টিক সক্ষমতা পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে, যা সংকটময় সময়েও জনগণের প্রয়োজন মেটাতে পারবে। এই আত্মবিশ্বাস সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজ আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও জনগণের অংশগ্রহণ। মহররম মাস সেই ঐক্য জোরদার এবং সাম্প্রতিক বাস্তবতা সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।”
প্রসঙ্গত, এ বছর ‘বসিরাতে আশুরা’ প্রকল্পের আওতায় মহররম ও সফর মাসে মাজানদারানের ৩৩০টি পবিত্র স্থান ও ইমামজাদায় কূম ও স্থানীয় আলেমদের অংশগ্রহণে ধর্মীয় প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
আপনার কমেন্ট